চুল সংক্রান্ত সমস্যা মানেই চুল পড়া, রুক্ষ চুল, চুলের বৃদ্ধি কম ইত্যাদি। আর হেয়ারকাট সংক্রান্ত সমস্যা বলতে সাধারণত কোন ধরণের হেয়ারকাট মানান সই সে সম্পর্কে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেই বোঝায়।
চুল পড়ার সাধারণ কিছু কারণ :
- প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব।
- বয়স।
- ঋতুচক্র।
- অসুস্থতা।
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
- দুঃশ্চিন্তা ও মানসক চাপ।
- খুশকি ও স্কাল্পের অন্যান্য সমস্যা।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য।
- গর্ভাবস্থা।
- থাইরয়েড সমস্যা।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় –
কোনো ধরণের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োগ ছাড়াই চুল পড়া বন্ধ করা যায়। যদি আপনার খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়ে থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমেই আপনার খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে।
১। ভিটামিন এ – এটি এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলের সুস্থতা বজায় রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। স্বাস্থ্যকর চুল পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই মিষ্টি আলু, গাঁজর, গাঢ় সবুজ শাক, শুকনো এপ্রিকোট, লাল মিষ্টি মরিচ, টুনা মাছ ও মৌসুমি ফল যেমন – আম এসব খাবার খেতে হবে। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা চুল পড়া কমায় এবং চুল বাড়তে সহায়তা করে।
২। ওমেগা ৩ – খাদ্য তালিকায় ডিম, মাছ, দুধ থাকতে হবে।
৩। ভিটামিন ই – বাদাম, শেলফিশ, মাছ, অলিভ অয়েল, ব্রোকলি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখবেন। ভিটামিন ই আপনার মাথায় রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখবে এবং চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
৪। ভিটামিন বি – মাংস, ডিম, মাছ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। ভিটামিন বি মেলানিন তৈরিতে সহায়তা করে যা আপনার চুলের রঙ সুন্দর করে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে এবং চুল পড়া কমায়।
হেড ম্যাসাজ
দৈনন্দিন ১৫ মিনিট মাথা ম্যাসাজ করলে মাথার সর্বত্র রক্ত সঞ্চালন ঠিক হয়। আপনি যদি মাথায় বাদাম তেল ম্যাসাজ করেন তবে আপনি এর ভালো ফলাফল পাবেন। চুল পড়া কমানোর জন্য যদি সম্ভব হয় সপ্তাহে দুইবার বাদাম তেল দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করুন।
এগ অয়েল
সপ্তাহে অন্তত দুইবার মাথায় এগ অয়েল বা ডিমের তেল ম্যাসাজ করুন। এতে করে আপনার চুলের শক্তি বাড়বে এবং চুলে পুষ্টি পাবে। নিয়মিত ম্যাসাজে আপনার চুল পড়া কমবে সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
গরম তেল ম্যাসাজ
নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল অথবা কেনোলা অয়েল একসাথে নিয়ে সামান্য গরম করুন।
কয়েক মিনিট এই উষ্ণ তেল মাথায় ম্যাসাজ করুন।
এবার চুল একটি শাওয়ার ক্যাপে মুড়ে নিন এবং এক ঘন্টা পরে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল তুলনামূলক বেশি বাড়বে এবং চুল পড়াও কমবে।
হেয়ার কাট –
- মুখের শেপ আর কপালের আকারের উপরই হেয়ারকাটের মানানসই ধরণ নির্ভর করে। গায়ের রঙের সাথে হেয়ারকাটের কোনো সম্পর্ক নেই।
- আপনার কপাল যদি বড় হয় তবে সফট ফ্রিঞ্জ ভাল লাগবে। এতে করে আপনার কপাল ঢাকা পড়বে এবং মুখও গোল দেখাবে। তবে খেয়াল রাখবেন ফ্রিঞ্জ যেন লম্বালম্বি মুখে না পড়ে। কেননা তাহলে আপনার মুখ আরো লম্বা দেখাবে।
- রোগা ধরণের মুখে ছোট হেয়ারকাট ভাল লাগবে।
- হেয়ারকাটে ভলিউম সৃষ্টি হলে তা অনেকটা আকর্ষণীয় হয়।
মেয়েদের সৌন্দর্যের একটি মূল অংশ চুল। তাই যেকোনো হেয়ারকাটে বা চুলের যত্নে আপনার সচেতন হও্যা উচিত। কেননা এটি আপনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন লুক দিতে সক্ষম।