
আমাদের সবারই মোটামুটি সকাল শুরু হয় রুটি খেয়ে। স্বাস্থ্য সচেতন সব মানুষ ভাতের পরিবর্তে রুটি খায় এবং এতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আবার বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাও অনেকে বেশি। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই একজন না একজন ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। যাদের জন্য ঘরের মহিলাদের রোজই রুটি বানাতে হয়। যারা রুটি বানান তারা জানেন যে রুটি বানানো মোটেই সহজ কাজ নয়। আর প্রতিদিনের এই কষ্ট ও ঝামেলার ব্যাপারটি যদি খুব সহজেই ঝামেলামুক্ত হয় যায় তাহলে তো আর চিন্তাই থাকে না।
খুব সহজে ও দ্রুত রুটি বানানোর জন্য বর্তমানে যে আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে তাহলো রুটি মেইকার। রুটি মেইকারের দ্বারা খুব সহজে এবং খুব দ্রুত, ধরতে গেলে ৫ মিনিটেই রুটি বানাতে পারবেন।
বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন রুটি মেইকার রয়েছে। এমনকি বিদেশী কোম্পানি ছাড়াও বাজারে রয়েছে দেশি রুটি মেইকার। দেশীয় রুটি মেইকারটি একটি ছোট কাঠের একটি যন্ত্র। এর নাম লাইবা রুটি মেইকার। দেশীয় এ রুটি মেকারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে রুটি তৈরি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছাড়াই মেশিনটি দিয়ে রুটি তৈরি করতে পারবেন সবাই। শুধু এর হাতল ধরে চাপ দিলেই সিদ্ধ আটার গোলা রুটিতে পরিণত হবে। এমনকি এটা চালাতেও বিদ্যুতেরও প্রয়োজন পড়বে না।
বাজারে তিন ধরনের লাইবা রুটি মেইকার পাওয়া যায়। এইসব রুটি মেইকারের দাম হচ্ছে ৩ হাজার ৮ শত টাকা, ৫ হাজার ৫ শত টাকা ও ৭ হাজার টাকা।
এই রুটি মেকারেরও কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। যেমন –
সুবিধা
- সিদ্ধ ও কাঁচা আটার রুটি খুব ভালো হয়।
- সিদ্ধ চালের গুঁড়ার রুটিও খুব ভালো হয়।
- দেশি ও বিদেশি রেসিপি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রুটি তৈরি করা যায়।
- পাতলা রুটি হয়।
- বড় আকারের রুটি তৈরি করা যায়।
- বিদ্যুৎ খরচ নাই।
- আমাদের অভ্যস্ত স্বাদের রুটি তৈরি করা যায়।
অসুবিধা
- রুটি সেঁকে দেয় না।
- ১৫/২০ দিন পর পর রুটি-পেপারটি পরিবর্তন করতে হয়।
বাজারের বিদেশি রুটি মেইকারগুলোর মধ্যে রয়েছে মিয়াকো, জায়পান, ঈগল, ম্যাজেস্টিক, কমেট এবং গ্রিন অ্যাপল। এছাড়াও রয়েছে র্যাংগসের রুটি মেইকার। মডেল ও নামভেদে রুটি মেইকারগুলোর দামে পার্থক্য রয়েছে।
র্যাংগসের রুটি মেইকার কিনতে খরচ পড়বে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা।
সিডিসহ মিয়াকো রুটি মেইকারের দাম ২ হাজার ৫ শত থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।
জায়পান রুটি মেইকারের দাম পড়বে ১ হাজার ৯ শত থেকে ২ হাজার ৮ শত টাকা।
ম্যাজেস্টিক রুটি মেইকারের দাম ২ হাজার ৫ শত টাকা।
ঈগল রুটি মেইকারের দাম হবে ২ হাজার ৩ শত টাকা।
কম দামে রুটি মেইকার কিনতে চাইলে আছে গ্রিন অ্যাপল, দাম ১ হাজার ৪ শত টাকা।
বিদেশি ব্র্যান্ডের রুটি মেইকারগুলোরও সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। যেমন –
সুবিধা
- রুটি সেঁকে দেয়।
অসুবিধা
- একটা সময় পর ননস্টিক গুণ হারায়।
- দ্রুত কয়েল নষ্ট হয়ে যায়।
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়।
- রুটি মোটা ও ছোট হয়।
আপনার এই জটিল কাজটিকে সহজ ও দ্রুত করতে চাইলে রুটি মেইকার ব্যবহার করুন।