ডায়েট করতে গেলে অনেকেই ভাবেন ডিম দুধ এসব খাওয়া যাবে না। এসব খেলে ডায়েট হবে না। আসলেই কি তাই? আপনি কি জানেন ডায়েট প্লানে এগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে?
ডায়েট প্লানে বয়েল এগের ভূমিকা –
১। অনেকেরই ডিম পছন্দ কিন্তু ওজন বাড়ার ভয়ে ডিম খাওয়া ছেড়ে নতুন অভ্যাস করে নিয়েছেন। তাদেরকেই বলছি, ডিম খেলে ওজন বাড়ে কথাটি ভুল। তবে আপনাকে এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম কে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি সকালে ও রাতে দুইবেলা একটি বা দুটি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
২। ডিমের সাদা অংশ আপনাকে অনেকক্ষণ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। এটি মোটামুটি অনেকটা সময় যাবৎ আপনার পেটে থাকবে। যার ফলে খুব দ্রুতই আপনার ক্ষুধা লাগবে না।
৩। যারা ডায়েট করেন তাদের সকালের নাস্তায় অবশ্যই একটি ডিম রাখা উচিত। কেননা ডিমে রয়েছে অনেক প্রোটিন যা আপনাকে সারাক্ষণ কর্মব্যস্ত রাখতে সাহায্য করবে।
৪। ডিম যেমন শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তেমনি সাথে সাথে আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
৫। ডায়েটের জন্য ডিম খেলে তা অবশ্যই সেদ্ধ করে খাবেন। কেননা ভেজে খেলে তাতে যে তেল ব্যবহার করবেন তা আপনার ডায়েটকে নসাৎ করে দেবে।
৬। সকালের নাস্তায় পরোটা না খেয়ে আটা রুটি আর ডিম খেতে পারেন। এতে করে আটা রুটি খেতে যেমন আপনার খারাপ লাগবে না তেমনি আপনার ডায়েটেও কোনো সমস্যা হবে না। আর যদি চান তবে খুব সামান্য তেল দিয়ে অমলেট করেও খেতে পারেন।
৭। ডিম খেয়ে বেশি পানি খেতে হয় যা আপনার ডায়েটের জন্য ভাল। কেননা বেশি বেশি পানি খেলে তা আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর বিভিন্ন কিছু বের করে ফেলে এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৮। গবেষণায় জানা গেছে, সকালে একটি করে ডিম খেলে তা আপনার শরীর থেকে প্রায় ৪০০ ক্যালরি কমাতে পারে।
ডায়েট মানে একেবারে না খেয়ে থাকা নয়। ডায়েট মানে এমন কিছু খাওয়া যা আপনার শরীরের জন্য যথার্থ পুষ্টি এনে দেবে ঠিকই শুধুমাত্র শরীরে বাড়তি মেদের সৃষ্টি হতে দেবে না। ডায়েটের দ্বারা আপনি আপনার শরীরের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পাবেন। তবে যেকোনো ডায়েটের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডায়েটের প্রক্রিয়ায় আপনার শরীরে বেশ বড়সড় পরিবর্তন আসে। আবার সব ডায়েট সবার শারীরিক অবস্থার সাথেও যায় না। আর এজন্যই নতুন যেকোনো ডায়েট প্লান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর না হলে শরীরের ভাল করতে যেয়ে ক্ষতি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকতে পারে।