পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব প্রতিটি মেয়ে বা নারীর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় মেয়েদের অনেক ধরণের লক্ষন এবং সমস্যা দেখা দেয় যেমন- তল পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়া, অসস্থিকর ভাব, কোমরে ব্যথা ইত্যাদি । আবার অনেকেরই পিরিয়ড নিয়মত ভাবে হয়না। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। আবার, দুশ্চিন্তা, অনিয়মিত ঘুম, ধূমপান ইত্যাদি কারণেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। তাই এসময় জরুরী হল পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
পিরিয়ডকালীন সময়ে যা যা খাওয়া উচিতঃ
পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবেঃ
১। শাক-সবজি এর ক্ষেত্রে আয়রনযুক্ত শাকসবজি যেমন পালং শাক, পুঁই শাক, শিম এবং শিমের বিচি এসকল খাবার খেতে হবে।
২। এসময় রক্তক্ষরণের ফলে শরীর অনেক দুর্বল থাকে, তাই আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী হল কলা।
৩। ডার্ক চকলেটঃ
চকলেট বা ডার্ক চকলেটও খাওয়া যেতে পারে। এতে করে মেজাজ ঠাণ্ডা থাকবে। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। প্রতি ২৮ গ্রাম ডার্ক চকলেটে প্রায় ৩.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। সব চকলেটই কিন্তু ডার্ক চকলেট নয়। তাই, কমপক্ষে ৭০% কোকো দিয়ে তৈরি ডার্ক চকলেট খেতে হবে।
৪। চা পানঃ
যাদের চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা এসময়ে দুধ চা এর বদলে আদা ও দারুচিনি মিশ্রিত রং চা খাওয়া উচিত। আদা পিরিয়ডের ক্ষেত্রে অনেক উপকারি। এর অনেক ভেষজ গুনাবলি রয়েছে। নিয়মিত আদা চা বা আদা পানিতে জাল দিয়ে সেই পানি খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়। পিরিয়ডকালীন সময়ে গ্রীন টি খাওয়া যেতে পারে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এটি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
৫।এছাড়াও এসময়ে খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন শাক-সবজি, মৌসুমি ফল, গাজর, পেপে, বাদাম, কাঠ বাদাম, দুধ, ডিম এগুলো রাখা উচিত। তরকারিতে এবং খাবারে লেবু রাখা উচিত। কাঁচা পেপে পিরিয়ডের ব্যথা কমায় এবং পিরিয়ডের ফ্লো ভালো হয়।
৬। এসময়ে সকালের নাস্তায় ডিম রাখা উচিত। ডিম শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় ।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিতঃ
পিরিয়ডের সময় ভাঁজা-পোড়া বা অতিরিক্ত ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া বাইরের প্রসেসড খাবার যেমনঃ চিপস, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া বর্জন করা উচিত। এসময়ে দুধ চা , কফি , লবণ এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে।