অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিন্তু এই করোনা ভাইরাস মহামারি অনেকের পরিকল্পনা নষ্ট করে দিয়েছেন। এখন অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত এবং অনেকেই ভাবছেন বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা পরিবর্তন করার। এই ব্লগটিতে আমরা এসকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।
ট্যাভেলিং বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা কিভাবে বাইরে অ্যাডমিশন নেবে?
এটি সম্ভব বলে এখনও অনেকে আশা করছেন। ইউকে এর বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে জানানো হয়েছে যে, “ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি গুলো ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টসদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যদি তারা ক্লাসে যেতে সক্ষম না হয়” । এর মানে হল, যদি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টসরা ফিজিকালি ক্লাসে আসতে না পারে তবে ইউনিভার্সিটিগুলো তাদের জন্য অনলাইন ক্লাস এর সুযোগ রেখেছে ।
নর্থ- ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি সহ আরও অনেক ইউনিভার্সিটি এখন বিদেশে প্রোগ্রামগুলির ভার্চুয়াল স্টাডি দিচ্ছে। এই প্রোগ্রামগুলি শিক্ষার্থীদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতার পাশাপাশি গ্লোবাল আইডিয়া এবং আন্তঃসংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে জড়িত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
তাই,পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের তারা যেসব ইউনিভার্সিটি গুলোতে পড়াশোনার কথা ভাবছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ্ করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
অনলাইন ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টঃ
বাইরে পরতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কান্ট্রি ভেদে IELTS, SAT, TOEFL টেস্ট দিতে হয়। তবে IELTS টা হচ্ছে মোস্ট কমন। অনলাইনে বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজেই প্রিপারেশন নেওয়া যায়। যেহেতু, করোনার জন্য এখন মেক্সিমাম ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং সেন্টারগুলো এখন বন্ধ তাই অনলাইনে প্রিপারেশন নেওয়া জরুরী। এছাড়া, IELTS ঘোষণা করেছে যে, “সেইফ প্লেসে সেইফটি মেইনটেইন করে IELTS টেস্ট নেওয়া হবে”। বাংলাদেশেও অলরেডি IELTS টেস্ট নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। IDP তে সেফটি মেইনটেইন করে টেস্ট নেওয়া হচ্ছে।
করোনা মহামারি একটি বৈশ্বিক মহামারি। এটি আমাদের জীবনযাত্রা থমকে দিয়েছে। তাই বলে হতাশ হলে চলবে না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।